ধারাবাহিক উপন্যাস নিয়তি/ পর্ব 0৩

 

হাসান তার শেষ পরীক্ষা নিয়ে অনেক অনেক প্ল্যান করে রেখেছিল। জয়া কে বলা হয়নাই, তার একটা জবের কথা ফাইনাল হয়ে গেছে একটা এন জিও তে। মোটামুটি ভাল স্যালারি। ভেবে রেখেছিল আজ ই জানাবে। মা কে জানিয়েছে। মাকে আরেকটা কথা জানিয়েছিল হাসান, সে বিয়ে করতে চায়। মাও খুব খুশি হয়েছিল শুনে। মা অবশ্য হাসানের জন্য পাত্রী ঠিক করেই রেখেছিলেন, এটা হাসান পরীক্ষা দিয়ে আসলেই বলবে বলে ঠিক করে রেখেছেন, হাসান আজ এক্সাম দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় আসবে। মা হাসানের প্রতীক্ষায়।

জয়া বাসায় ফিরে দেখে ভয়াবহ অবস্থা, মায়ের জ্ঞান নেই, বাসায় পুলিশ, মিডিয়া, সরকারি কর্মকর্তা, লোকাল এম পিও আসছেন। মায়ের অবর্তমানে তাকেই নাকি সামলাতে হবে সব। এর মাঝে জয়ার অস্থির দুইচোখ কেবল ই হাসান কে খুঁজছে। এত বড় নিউজ হাসানের চোখে কী পড়েনি!! তাছাড়া ক্যম্পাসেই ঘটেছে ঘটনা টা তাহলে কিভাবে হাসানের অজানা থাকবে!! হাসান আসলে কোথায়, সিম টাই বা কেন খুলেছে, কোথায় সে। জয়ার খুব খারাপ লাগছে শরীর। তবুও তাকে একের পর এক মিডিয়া ফেইস করতে হচ্ছে। হাসান কোথায়?

জয়াকে একের পর এক প্রশ্ন করা হচ্ছে, সে কি বলবে বুঝতেই পারছেনা। তার মনে হচ্ছে সে কিছুই কান দিয়ে শুনতে পাচ্ছেনা, এর মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানালেন, তিন নেতার মাজারের সামনে একটি মোবাইল পাওয়া গেছে, যেটাতে কোন সিম নেই, কিন্তু স্ক্রিনে জয়ার ছবি থাকায়, তাদের ধারনা ফোনটি পূলক সেন এর। জয়া ফোন টি দেখে তার বাবার বলে সনাক্ত করলো। ঐ কর্মকর্তার ধারনা সঙ্ঘবদ্ধ হাইজ্যাকারদের হাতেই খুন হয়েছে পূলক সেন। জয়া ভাবছিল, সামান্য মোবাইল আর কিছু টাকার জন্য এমন নৃশংসভাবে কেউ কাউকে খুন করে!! সম্ভব!! আচ্ছা সি সি টিভি ফুটেজ কি পাওয়া যাবে না? পুলিশের ডি আই জি সাবের খান জয়ার বাবার খুব ভাল বন্ধু, জয়া উনাকে ব্যাপারটা বলতেই, বললেন উনি খোঁজ নিয়েছিলেন, বিকালের হঠাত বৈশাখী ঝড়ের কারনে সেদিন প্রায় সন্ধ্যা সাত টা পর্যন্ত ঐ এলাকায় ইলেক্টট্রিসিটি ছিল না।

পূলক সেনের ভাই বোনের বেশিরভাগ ই ইন্ডিয়ায়, আত্মীয় বলতে বন্ধু আর কলিগরা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য করা হল। ইমার্জেন্সি ভাবে পোস্ট মর্টেম করা হল, পোস্ট মর্টেমেডেথ বাই সাফোকেশানদেখানো হয়েছে। তার মানে কোপানোর আগে মৃত্যু হয়েছিল পূলক সেনের। আর অদ্ভুত ব্যাপার হলো মরার সময় দেখানো হয়েছে দুপুর ২ টা থেকে ৩ টার দিকে। তাহলে কি অন্য কোথাও হত্যা করে এনে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোপানো হয়েছে তাকে? তার মতো একজন সাংবাদিকের শ্ত্রু থাকতেই পারে, কিন্তু এভাবে নৃশংসভাবে খুন করার মত কোন তার কী থাকতে পারে? আজীবন ঢাকা শহরে কাটানো পূলক সেন ছিলেন নির্ঝঞ্জাট ভদ্রলোক। কত বড় বড় মানুষের সাথে উঠবোস করেছেন আজীবন। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত শোক জানিয়েছেন। জয়া ভেবেই পাচ্ছেনা কি এমন হয়ে গেল বাবার সাথে যে এভাবে মৃত্যু বরণ করতে হলো তাকে।

পূলক সেনের মৃত্যুর চারদিন পার হয়ে গেলো, হাসানের কোন খোঁজ নেই। হাসানের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে জয়া, হাসান নাকি শেষ পরীক্ষা দিয়েই তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে গেছে। অন্যরা হল থেকে বেরিয়ে আসার আগেই তাকে আর দেখা যায় নি। হাসান বাড়ী ও যায় নাই। তাহলে কোথায় সে?

জয়ার চোখ বেয়ে এখন শুধুই অশ্রু। একে সদ্য বাবা হারানো তার উপর হাসান নিখোঁজ। তার কাছে সব চেয়ে অবাক লাগছে, হাসানের মোবাইলে সিম না থাকার ব্যাপারটা। ঘটনার আগে শেষ কথা হয়েছিল দুজনের আগের দিন রাত ১০ টায়, তখন ই সব প্ল্যান ফিক্সড করা হয়েছিল। সকালে হাসান পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পর, জয়া বাসায় ঢুকেছে তার কাছে থাকা অন্য চাবি দিয়ে। এরপর থেকে হাসানের কোন খোঁজ খবর নাই, হাসানের মামা পুলিশ কেইস করেছেন। কিন্তু পূলক হত্যা মামলার আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র নিখোঁজ এর খবর টা বড্ড বেশি ফিকে লাগছে। জয়া জানেনা কিভাবে খুঁজে পাবে হাসান কে। কিন্তু তাকে যে পেতেই হবে হাসান কে।

হাসান নিখোঁজ হবার পনের দিন প্রায় পার হয়ে গেছে, জয়ার জীবন কাটছে ভয়াবহ দুর্ভাবনায়। এদিকে নিজের মাঝে একটু একটু করে বড় হওয়া হাসানের সন্তান, এখনো কাউকে বলতেই পারেনি। মাকে বললে কী হতে পারে ভেবে জয়া অস্থির হয়ে যাচ্ছে। বাবার হঠাৎ মৃত্যু জয়ার মা একদমই মেনে নিতে পারেনি, খাওয়া দাওয়া বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছে। হাসানের মামা ঢাকায় পাগলের মত থানা পুলিশ করে বেড়াচ্ছে। কোন লাভ হয় নাই, এখন পর্যন্ত কোন ক্লু পাওয়া যায় নাই। এর মাঝে জয়া নিজের প্রেগ্ন্যান্সি তাও আবার হাসানের নিখোঁজ অবস্থায়, কিভাবে কি করবে বুঝতে পারছেনা কিছুতেই।

এদিকে হাই লেভেলের প্রেশারে জয়ার বাবার কিছু সাম্ভাব্য খুনি বের করে এরেস্ট দেখানো হয়েছে। যদিও মিডিয়া সোচ্চার এসব অপপ্রচারের জন্য। ধারনা করা হচ্ছে কিছু হাই প্রোফাইল সিক্রেট রিপোর্টিং এর কারনে তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পূলক সেনের এক কলিগের কাছ থেকে জানা গেছে, হিউম্যান অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্টের একটা সিক্রেট র‍্যকেটের সাথে জড়িয়ে থাকা কিছু হাই প্রোফাইল ব্যাবসায়ী আর পলিটিশিয়ানদের জড়িয়ে থাকার একটা ক্লু ইয়ের উপর ভিত্তি করে একটা রিপোর্ট নিয়ে কাজ করছিলেন পূলক সেন।

জয়া আজ ক্যাম্পাসে যাবে ঠিক করেছে, হাসানের কোন ক্লু খুঁজে পায় কিনা দেখা যাক, একটা অসহ্য আতংক অবশ্য আছে বাবার লাশ পাওয়া যাবার জায়গাটা দেখার এক বিরাট ভয়ংকর কষ্ট হয়ত তার হবে। কিন্তু জয়া কে শক্ত হতেই হবে, হাসান কে খুঁজে বের করতেই হবে। দিনে দুপুরে এমন করে তার মানুষ টা হারিয়ে যাবে। জয়াকে অবাক করে দিয়ে আজ কান্তা এসে হাজির জয়ার বাসায়। জয়াকে ওর বাবার মৃত্যুতে সান্তনা জানায়। হাসানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। জয়া কান্তাকে দেখে ভেঙ্গে পড়ে। অনেকক্ষন জড়িয়ে ধরে কাঁদে, এক সময় না পেরে সে তার প্রেগ্ন্যান্সির খবর দেয় ছোটবেলার বেস্ট ফ্রেন্ড কান্তা কে। কান্তা স্তম্ভিত হয়ে বসে থাকে কিছুক্ষণ। কান্তা আগামী সপ্তাহে অষ্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছে, সাথে যাচ্ছে ওর হাসবেন্ড। কান্তা কবে বিয়ে করল!!অবাক হলো জয়া।এই তো গত সপ্তাহেই।  এই কারনেই আসতে পারিনিরে তোর খবর নিতেবলল জয়া।আচ্ছা শোন হাসানের কোন খবর পেলে আমাকে জানাস প্লিজ। যোগাযোগ রাখিস।জয়ার কাছে খুব অবাক লাগে কান্তার হঠাৎ বিয়ের খবর, কেউ ই তাকে জানালো না।

ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে হাসানের ফ্ল্যাটে গেলো সে। গেট খুলে খুব অবাক হল, মনে হচ্ছে কেউ একজন থাকছে এখানে, কারন অদ্ভুত পরিষ্কার তার ঘর। পুলিশ এসে সার্চ করে গেছে শুনেছে সে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে, আরেক বিপদ হলো বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে। এক মাসের মধ্যে। সে অবশ্য তিনমাস সময় চেয়েছে। কী করবে ভাবছে জয়া। সব মিলিয়ে জট পাকিয়ে যাচ্ছে মাথা। কী মনে করে যেন হাসানের টেবিলের ড্রয়ার খুলল জয়া, খুব সাজানো গোছানো মানুষ ছিল হাসান, ড্রয়ারে হাসানের ওয়ালেট আর ঘড়ি দেখে একটু অবাক হল জয়া, পরীক্ষার হলে কী তাহলে সে ঘড়ি ছাড়া গিয়েছিল!! আর ওয়ালেট ই বা এখানে কেন? ওয়ালেট ভুলে ফেলে যাবার মানুষ সে না। কি ভেবে ওয়ালেট টা খুলল সে ওয়ালেটের ভেতরে তার একটা ছবি দেখে জয়ার বুক টা হু হু করে উঠলো। এত ভালবাসা ছেড়ে হাসান কোথায় চলে গেলো। ওয়ালেটের ভেতরে এক হাজার টাকার দুইটা নোট, কিছু খুচরা দশ বিশ টাকার নোট। আর একটা ছোট গোল প্লাস্টিকের পয়সার মত দেখতে কিছু, কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে দেখলো জয়া, কোন কূল কিনারা করতে পারলো না। নিজের ছবিটা বের করলো। পেছনে একটা নাম্বার লেখা, RBK5.30PL3RI2VCT-2807. কিসের নম্বর কে জানে!!

ছাদের পাশে গিয়ে দাড়ালো জয়া,কিছু গাছ লাগিয়েছিল হাসান, জয়া ভাবলো পানি দিয়ে যাবে। গাছ গুলো বেশ সজীব আছে এখনও, অন্য ফ্ল্যাটের কেউ হয়ত ছাদে এসেছিল। যদিও তারা থাকতে উপরে ছাদে কেউ আসতো না। ছাদের রেলিং ধরে দাড়ালো জয়া, চোখের পানি আর আটকাটে পারছেনা কিছুতেই। ভীষন মনে পড়ছে তার হাসান কে। হাসানের সিগারেট খাওয়াটা সে দুচোখে দেখতে পারতো না, এখন কেন যেন হাসানের সিগারেটের গন্ধ টাও সে খুব মিস করছে। মনে হচ্ছে বেনসানের গন্ধ সে এখনো পাচ্ছে। ভেবেই চমকে উঠলো সে, তার মনে হল কেউ একজন তার পেছন থেকে দ্রুৎ সরে গেল। চমকে পেছন ফিরে কাউকেই দেখতে পেলো না, কিন্তু সিড়ি ভেঙ্গে কাউকে নামতে শুনলো। জয়া দ্রুত সিড়ির কাছে গেল, কেউ নেই কিন্তু খুব পরিচিত একটা গন্ধ। জয়ার আর কিছুই ভাল লাগছেনা, সে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রিক্সা নিল।

ক্যাম্পাসের জমজমাট পরিবেশ টা এক দুপুরের কিছুটা স্তিমিত, জয়া সূর্যসেন হলের কাছে গিয়ে, হাসানের বন্ধু আবিদ কে কল দিল। ওদের স্কুল ফ্রেন্ড আবিদের রোল নাম্বার হাসানের পরেই, আবিদ জয়াকে একটা অদ্ভুৎ তথ্য দিল, হাসান নাকি পরীক্ষার মাঝে খানে প্রায় ২০ মিনিট ছিল না মানে ওয়াশ রুমে ছিল, তারপর পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে গেছে সবার আগে। জয়া কী মনে করে যেন আবিদ কে কান্তার কথা জিজ্ঞেস করলো, আবিদ জানেইনা কান্তার বিয়ের খবর। অথচ আবিদের গ্রামের বাড়ীর দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ছিল কান্তা।

আর কিছু চিন্তা করার মত ধৈর্য্য নেই জয়ার আজ। খুব ক্লান্ত লাগছে জয়ার। দ্রুৎ বাসায় ফিরলো জয়া। ড্রইয়িং রুমে খুব সুন্দর একটা মেয়ে বসে আছে, কান্তার খুব চেনা লাগলো মেয়েটাকে কিন্তু মনে করতে পারলো না। বাবা মারা যাওয়ার পর অনেকেই এখন বাসায় আসছে। জয়ার মা জানালো ও হাসানের মামাতো বোন রিনি। জয়ার খুব অবাক লাগলো রিনিকে দেখে, অনেক ছোটবেলায় একবার হাসানের বাসায় দেখেছিল, এত সুন্দর হয়েছে সে! রিনির চোখ দুটো লা হয়ে আছে, ঘুম হয়নি মনে হচ্ছে। হাসানের ৩ বছরের ছোট মামাতো বোন রিনি, হাসানের খুব ন্যাওটা ছিল ছোটবেলায়। রিনি জানালো হাসানের মা খুব অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছেন, হোটেলে উঠেছেন, হাসানের বাসার চাবির জন্য জয়ার কাছে এসেছে রিনি। রিনির হাসিটা খুব সুন্দর, জইয়া ভাবলো। এত ঝামেলার মাঝেও জয়া রিনিকে বলতে বাধ্য হল-‘রিনি তুমি তো খুবই সুন্দর হয়েছ, আগে তো ছোট ছিলে, মনে নেই

দিদি, ওর কোন খবর পাচ্ছিনা, ফুপুর ও শরীর খুব খারাপ

জয়ার একটা ব্যাপারে খটকা লাগলো, হাসান যে ঢাকায় একা বাসা নিয়ে থাকে, এটা তো ওর মা, মামা বা রিনির জানার কথা না, তাহলে কিভাবে রিনিরা জানলো?

রিনি, হাসানের বাসার চাবি আমার কাছে কে বলল?’

দিদি আমরা তো জানতাম ও হলে থাকে, কিন্তু কয়দিন আগে টিভি দেখে জানলাম, ও বাসা নিয়েছিল। আর ফুপুর শরীর খুব খারাপ আমরা যখন ঢাকায় রওনা দিচ্ছিলাম, আব্বা কে ফোন করে ওর এক বন্ধু ফোন করে ফুপুর খবর নেয়ার সময় বলল, আপনার কাছে চাবি আছে, আর ওর বাসায় চাইলে আমরা থাকতি পারি

আর কিছু বলেনি?’ জানতে চাইল জয়া? ‘না বলেনি

জয়া দোটানায় পড়ে গেলো রিনিকে চাবি দিবে কিনা, আসলেই দেয়া ঠিক হবে কিনা। জয়া, হাসানের মায়ের ফোন নম্বর টা চাইল, রিনি ফোন নাম্বার টা দিল, ফোন টা সুইচড অফ বলছে। রিনির মুখের দিকে তাকালো জয়া, ফোন অফ।

দ্যাখো রিনি, আমি বুঝতে পারছি তোমাদের ব্যাপারটা, কিন্তু হাসান কে না বলে আমি কিভাবে ওর বাসার চাবি তোমার হাতে দেই বলতো?’

হাসানের বাসার চাবি আপনি হাসানের ওয়াইফের কাছে দিতে পারবেন না?’

হাসানের ওয়াইফ মানে, হাসানের ওয়াইফ কে?

কেন, মাস তিনেক আগে  হাসানের সাথে বিয়ে হয়েছে আমার!’

কী যা তা বলছ!’

আপনি ফোন করে ফুপুকে জিজ্ঞেস করতে পারেন?’

জয়ার কেমন যেন গা গলাচ্ছিল, সারাদিনের ক্লান্তিতে এম্নিতেই নিজের শরীরের জানা দিচ্ছে হাসানের সত্তা, তার উপর এইসব প্রেসারে পাগল হয়ে যাবে জয়া মনে হচ্ছে। কিছু বোঝার আগেই জ্ঞান হারালো জয়া।  



Comments

Popular posts from this blog

ধারাবাহিক উপন্যাস নিয়তি/ পর্ব ১৬ (সমাপ্তি)

ধারাবাহিক উপন্যাস নিয়তি/ পর্ব ০১ ও ০২

ধারাবাহিক উপন্যাস নিয়তি/ পর্ব ১৪ ও ১৫